পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১০ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্লাহর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নানা অনিয়মের দায়ে তিনটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেগুলো হলো– পাহাড়তলীর মেসার্স কালু শাহ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স বাছামিয়া সওদাগর ও বায়েজিদ বোস্তামীর ছৈয়দ স্টোর।
ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, অভিযানে পাহাড়তলী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মেসার্স বাছামিয়া সওদাগরের দোকানে মূল্য তালিকায় লেখা আছে ‘পেঁয়াজ নেই’। কিন্তু দোকানটির গোডাউনে গিয়ে ৩৬ বস্তা পেঁয়াজ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে (ভারতে) রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়। এর প্রভাবে শনিবার হুট করে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। আগের দিন শুক্রবার যে পেঁয়াজ ১০০ টাকা ছিল পরদিন শনিবার তা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছে ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ভারত রপ্তানি বন্ধ করলেও দেশের বাজারে এখন যে পেঁয়াজ আছে সেগুলো আগেই কম দামে আমদানি করা। এসব পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।