স্বদেশ বাংলা ডেস্ক:
২১ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘একুশে পদক ২০২৪’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এ পদে ভূষিত হয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
তবে এ বছর ২১ পদকে ভূষিত মো. জিয়াউল হক পেশায় একজন দই বিক্রেতা। বিক্রির আয়ের অংশে সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেন। গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি। সেখানে প্রায় ১৪ হাজার বই সংগ্রহ করা আছে। এছাড়াও অসহায় মানুষের ঘর নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন । এ বছর সমাজসেবা বিভাগে জিয়াউল হককে ২১ পদকের নির্বাচিত করা হয়।
এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজন বিশিষ্ট নাগরিক এ পুরস্কার পাচ্ছেন। ভাষা আন্দোলন বিভাগে পুরস্কারের জন্য মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার (মরণোত্তর) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
তা ছাড়া শিল্পকলা বিভাগে সংগীত ক্যাটগরিতে জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যানী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব, নৃত্যকলা ক্যাটগরিতে শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয় ক্যাটগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তি ক্যাটগরিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলা ক্যাটগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটগরিতে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষা বিভাগে প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু এ পুরস্কার পান।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে। গত বছর ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেওয়া হয়।
২০২০ সাল থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়।