খুঁজুন
সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১৯ কার্তিক, ১৪৩১

আলুর জমিতে লেট ব্লাইট রোগ, বিপাকে কৃষক

সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, রংপুর থেকে
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ
আলুর জমিতে লেট ব্লাইট রোগ, বিপাকে  কৃষক

রংপুরে আলুর জমিতে লেট ব্লাইট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছে। কৃষি বিভাগ জমিতে স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন । কৃষিবিভাগের হিসাব মতে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে।

এ বছর রংপুর অঞ্চলে ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২ হাজার ৯২ হেক্টও বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। গত বছর রংপুর অঞ্চলে ৯৭ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছিল।
কৃষকরা জানান, গত বছরে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এবার তারা বেশি পরিমান জমিতে আলুর চাষ করেছিলো। কিন্ত এবার লেটব্রাইট রোগ দেখা দেওয়ায় এখন ফসল বাঁচাতে জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরামহীম গ্রামের কৃষক সফর উদ্দিন খান জানান,শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় আলু ক্ষেতে রোগ নিয়ে চিন্তিত।

একই গ্রামের দুলাল ইসলাম জানান, এবার তিনি ৫ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। কিন্ত পাতা পচাঁ রোগ দেখা দেওয়ায় কিছুটা চিন্তিত। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা আলুর খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ পানি দিচ্ছে, কেউ স্প্রে করছেন আবার কেউ আগাছা পরিস্কার করছে।
নগরীর বোতলা এলাকার কৃষক রুবায়েত জানান, এবার আলুর মৌসুমের শুরুতে বীজ আলু ও সার সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে আলুর ফলন ভালো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আলু নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে না।

কৃষি বিভাগ বলছেন, আলু চাষের জন্য বেলে দোআশ ও দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। দেশে দেশি ও উচ্চফলনশীল দুই জাতের আলু চাষ করা হয়। উচ্চফলনশীল জাতের আলু চাষ করলে ফলন বাড়বে এবং উৎপাদন খরচ কমে আসবে। সেই সাথে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
রংপুর অঞ্চলের কৃষকেরা এবার গ্রানোলা, লরা, মিউজিকা, ক্যারেজ, রোমানা ও ফাটা পাকরি চাষ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে রংপুরে এবং সবচেয়ে কম লালমনিরহাট জেলায়। মার্চ মাসের শেষের দিকে আলু উত্তোলন শেষ হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ।

এ বছর রংপুর জেলায় ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর, নীলফামারী জেলায় ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর, গাইবান্ধা জেলায় ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর, কুড়িগ্রাম জেলায় ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর ও লালমনিরহাট জেলায় ৬ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। ঘন কুয়াশা থাকলে আলুর মধ্যে লেট ব্লাইট হতে পারে। আমরা কৃষকদের পরিমিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা ভারতে কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
শেখ হাসিনা ভারতে কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতীয় রাজনীতি।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেছেন, কিসের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয়ে দিয়েছে মোদি সরকার?

সোরেন আরও উল্লেখ করেছেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে থাকে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের “অনুপ্রবেশকারী” ইস্যুতে মন্তব্যের জবাবে সোরেন এসব কথা বলেন। রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ এবং “অনুপ্রবেশ” সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সোরেন উল্লেখ করেছেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটে। একইসঙ্গে তিনি এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে।

রোববার গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, “আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সাথে বিজেপির কোনও ধরনের অভ্যন্তরীণ কোনও বোঝাপড়া আছে কিনা।”

তিনি বলেন, “দয়া করে আমাদের বলুন— কিসের ভিত্তিতে আপনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে প্রবেশ করার এবং আশ্রয় চাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমেই ভারতে প্রবেশ করে। তারা নিজেরাই এটা বলছে।”

এর আগে রোববার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় অমিত শাহ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারীদের “আশ্রয়” দেওয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন। আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আপনার ভোটব্যাংক বানিয়েছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই, তুষ্টির রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডকে প্রথম থেকে পুনর্গঠন করবে।”

এর আগে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে গত সেপ্টেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের “নীরবতা” নিয়েও সেসময় প্রশ্ন তোলেন।

তবে নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে বিভাজনের বীজ বপন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও উত্তেজনা তৈরি করছে বলে সেসময় অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বিশেষ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

এছাড়া ঝাড়খণ্ডে বসবাসরত মুসলিমদের ১১ শতাংশই “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী” বলে কয়েকদিন আগে দাবি করেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপির এমপি নিশিকান্ত দুবে। সেসময় তিনি বলেন, “১৯৫১ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ ছিল মুসলিম। এখন এই হার বেড়ে পৌঁছেছে ২৪ শতাংশে। ভারতজুড়ে এই সময়সীমার মধ্যে মুসলিমদের হার বেড়েছে ৪ শতাংশ কিন্তু আমার সাঁওতাল পরগনায় এ হার বেড়ে বর্তমানে ১৫ শতাংশ। এই ১৫ শতাংশের মধ্যে ১১ শতাংশই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকার তাদের গ্রহণ করেছে।”

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর। ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’।

এবারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে তারা পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এবার সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)।

শীর্ষ সংবাদ:
শেখ হাসিনা ভারতে কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন উদ্ধার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে টিকেট সংরক্ষণ না করার নির্দেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের চার্চে প্রার্থনার সময় বজ্রপাতে নিহত ১৪, আহত ৩৪ পদ্মাসেতুর জাজিরাপ্রান্তে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪ তরুণরা নিজেদের জন্য নতুন দেশ চায়ঃ ড. ইউনূস আগামী দিনে কাগজের রিটার্ন জমা নেওয়া হবে নাঃ এনবিআর চেয়ারম্যান নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বর্তমান সরকারঃ মাহফুজ আলম ২৮ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে অক্টোবরে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের সীমা প্রত্যাহার দরবৃদ্ধির শীর্ষে আফতাব অটোমোবাইলস লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ফার্মা লেবাননে ইসরায়ে‌লি বিমান হামলায় বাংলাদেশির মৃত্যু ২২ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু কূটনৈতিক মিশনে পরিবর্তন হচ্ছে ‘গভর্নর হাউজ’ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যালয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে ৯ দফা দাবি পেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু আওয়ামী লীগ আমলে প্রতি বছর দেশ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা