গণভবনের তালিকা পড়ে শোনানো হবেঃ ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও উৎসবমুখর পরিবেশের পরিবর্তে সারা দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিএনপির সক্রিয় নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিচার বিভাগের মাধ্যমে বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক। অনেক গ্রাম মানুষহীন হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকানুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। গণভবন থেকে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা নির্বাচনের রাতে পড়ে শোনানো হবে। বর্তমান সরকার ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, আজকে বর্তমান সরকারও একই কায়দায় মানুষের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। আজকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী ঘোষণা করতে শত কোটি টাকা নষ্ট করতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে অটোপাস নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে রাতের ডাকাতির পর এবার আরেকটি ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। আজকে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন এখন একটি কৌতুক, প্রহসন এবং ব্যবসার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কারণ জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। আসন বণ্টনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সহানুভূতি ও করুণায় জনপ্রতিনিধি তৈরি করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ ও যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন।
আপনার মতামত লিখুন