ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়িঃ একটি মারাত্মক ব্যাধি
ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি একটি মারাত্মক ব্যাধি, যা আকিদা ও বিশ্বাসকে বিনষ্ট করে ফেলে। এটি একটি জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কারণ এর ফলে মানুষ আল্লাহর নির্দেশকে লঙ্ঘন করে এবং আল্লাহর বিধান পালনে সীমা লঙ্ঘন করে।
একসময় গোটা পৃথিবীতে ধর্মীয় বিভেদ ছিল না। সব মানুষ এক উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত ছিল। আদম ও নুহ (আ.)-এর মধ্যে ১০ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল। আর এ দীর্ঘ সময় তারা সবাই খাঁটি মুসলিম ছিলেন। অতঃপর কালক্রমে তারা নেক ও সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন শুরু করে। ফলে তাদের আকিদা-বিশ্বাস কলুষিত হয়।
রাসুল (সা.) কবরের পাশে কিংবা কবরের ওপর মসজিদ নির্মাণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। কেননা মনীষী-বুজুর্গদের কবরের পাশে ইবাদত করলে তা তাঁদের উপাসনার দিকে নিয়ে যেতে পারে। একবার উম্মে হাবিবা ও উম্মে সালামা (রা.) রাসুল (সা.)-কে হাবশায় (আবিসিনিয়া) অবস্থিত গির্জার কথা বলেন, যাতে কিছু ছবি ও মূর্তি ছিল। তিনি শুনে বললেন, ‘ওরা এমন জাতি যে তাদের মধ্যে কোনো নেককার লোক মারা গেলে তারা তার কবরের ওপর মসজিদ নির্মাণ করত এবং তাদের (সম্মানার্থে) সেখানে ছবি ও মূর্তি স্থাপন করত। ওরাই কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি হিসেবে পরিগণিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৩৪১; মুসলিম, হাদিস : ৫২৮)
একইভাবে রাসুল (সা.) তাঁর অতিরিক্ত প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমার প্রশংসায় অতিরঞ্জন করো না, যেমন খ্রিস্টানরা মারিয়াম পুত্র ঈসা (আ.)-এর ব্যাপারে করেছে। আমি শুধু আল্লাহর বান্দা। সুতরাং তোমরা (আমার ব্যাপারে) বলো, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৪৫)
আপনার মতামত লিখুন