খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

আওয়ামী লীগ ২০ হাজার তরুণের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেঃ মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ ২০ হাজার তরুণের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেঃ মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সামগ্রিকভাবে গত ১৫-১৬ বছরে প্রায় ২০ হাজার তরুণের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে পরাজিত সরকার। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে তরুণরা জেগে উঠেছে। 

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে আমরা ঠিকমতো মূল্যায়ন করি না। আমি খুব আশঙ্কায় ছিলাম, এই মহীয়সী নেত্রী কি আবার দেখে যেতে পারবেন, তার দেশে আবার মুক্ত হয়েছে। আল্লাহর রহমতে তিনি দেখে যেতে পারছেন দেশ আবার মুক্ত হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ছাত্ররা সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছে কিন্তু এ আন্দোলনে কতজন রিকশা শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে, আমরা তার সঠিক হিসাব রাখি না। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম অসুস্থ ছাত্রদের দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখেছি প্রায় ৪০ ভাগ শ্রমিক, যারা বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন এবং রিকশা চালান। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো প্রয়োজন। এ কথাগুলো এজন্য বলছি যে এবার লড়াইটা মাটি থেকে দাঁড়িয়ে করেছে। গুলি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেছে কিন্তু ভয় পেয়ে পেছনে হাঁটেনি, এখানে বিজয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে যখনই আমরা বুক পেতে দিয়েছি, রক্ত ঝরিয়েছি, তখনই আমাদের বিজয় এসেছে।
আমি বারবার বলি, ছাত্ররা হচ্ছে আমাদের সেই ভ্যানগার্ড, যারা পরিবর্তন এনে দিয়েছে– উল্লেখ করেন তিনি।

কোনো ষড়যন্ত্রে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন বৃথা যেতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তোমাদের প্রতি একটাই অনুরোধ যে আমরা যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়। সীমান্তের ওপারে ফ্যাসিস্ট বসে আছে… ওখান থেকে নতুন নতুন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে তারা এক একটা ঘটনা ঘটিয়ে সেখানে ফলাও করে বিশ্বকে দেখাতে চায় যে বাংলাদেশ নাকি মৌলবাদীর দেশ হয়ে গেছে, বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু ভাইকে নির্যাতন করা হচ্ছে।

ভারতের পত্র-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেন বাংলাদেশে এখন এই ধরনের সমস্ত নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে– উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসলে তা না। কারা এগুলো করছে? কেন করছে? আমি এ কথাটা এজন্য বলছি যে এ আনন্দে আমাদের থাকার অবকাশ নাই যে, আমরা জিতে গেছি… সব হয়ে গেছে। আমাদের মাথার ওপরে সেই খড়গ এখনো আছে এবং চারদিক থেকে তারা চেষ্টা করছে আবার অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এজন্য খুব সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনোরকম হঠকারিতা, কোনোরকম বিশৃঙ্খলা যাতে কেউ করতে না পারে। সেটাকে রুখে দিতে হবে, এটা হচ্ছে একটা বড় কাজ।

সংগঠনের সমন্বয়ক মিলন মাহমুদের সভাপতিত্বে কনভেনশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক শরিফ উদ্দিন আহমেদ, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসেন শাহরিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমির হোসেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরফান আলী, অধ্যাপক এসএম মাহবুবুর রহমান, তেজগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যাপক সোলায়মান আলী, বিএনপি পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, ঠাকুরগাঁও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। তবে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।

মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।

শীর্ষ সংবাদ:
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড দরবৃদ্ধির শীর্ষে সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনতে চায় সরকার, চিন্তায় ভারত সিরিয়ার বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল দুদকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মোমেন! বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়া ৮ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মায়ানমারের মংডু দখল করেছে আরাকান আর্মি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল শুনানী আজ ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব দর বৃদ্ধির কারণ জানে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউসিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ‘আদনান ইমাম’ সোনার ভরি এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অনুরোধ ইসির বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারতঃ বিক্রম মি‌শ্রি দরপতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড