খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল

অবশেষে যুদ্ধ বিরতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েল। দীর্ঘ আলোচনার পর ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর অর্থ, দ্রুত এই চুক্তি কার্যকরী হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে এই চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০০৬ সালে এই প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করেই ইসরায়েল এবং হিজবুল্লার ৩৬ দিনের লড়াই বন্ধ হয়েছিল।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল ধীরে ধীরে লেবানন থেকে তাদের সৈন্য ফিরিয়ে নেবে। অন্যদিকে হিজবুল্লার যোদ্ধাদেরও লিটানি নদীর উত্তরে সরে যেতে হবে। অর্থাৎ, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে তাদের চলে যেতে হবে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে লেবাননের সেনা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যাবে এবং খেয়াল রাখবে যাতে হিজবুল্লা সেখানে নতুন করে তাদের সামরিক কাঠামো তৈরি করতে না পারে। দক্ষিণ লেবাননের সেনারা ১০ হাজার সৈন্য় মোতায়েন করবে। এই অঞ্চলটি হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদাল্লা বউ হাবিব একথা জানিয়েছেন।

একটি ত্রিপাক্ষিক মঞ্চ তৈরি করা হবে। যেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী, ইসরায়েলের সেনা এবং লেবাননের সেনা থাকবে। আমেরিকা এবং ফ্রান্স এই মঞ্চে মধ্যস্থতা করবে। আমেরিকার নেতৃত্বে এই মঞ্চ গঠিত হবে।

একই সঙ্গে জো বাইডেন জানিয়েছেন, দুই দেশের মানুষ নিজেদের সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীতে ফিরে যেতে পারবেন। লড়াই চলাকালীন যারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন।

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা যখন এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তখনো লেবাননে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে গেছে ইসরায়েলের সেনা। এই প্রথম মধ্য বৈরুতেও আক্রমণ চালানো হয়। দক্ষিণ বৈরুত এবং শহরতলিতেও আক্রমণ হয়েছে। দক্ষিণ শহরতলির বেসামরিক মানুষকেও নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ ভোর চারটে থেকে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তি কার্যকর হবে। তার আগে শেষবারের মতো বৈরুতজুড়ে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল।

লেবাননের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাটি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার কথায়, ‘এই চুক্তি শান্তি ফিরিয়ে আনবে। মানুষ আবার নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবেন। লেবাননের সরকার জাতিসংঘের সমস্ত নিয়ম যাতে পালিত হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবে। শুধু তা-ই নয়, দেশের সেনা বাহিনী যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। লেবাননের পার্লামেন্টে হিজবুল্লার রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা আছেন। বুধবার তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই চুক্তি রূপায়নের পিছনে ফ্রান্স এবং আমেরিকার হাত আছে। তারাই মধ্যস্থতা করেছে। ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা চুক্তি চূড়ান্ত করার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার আশা, এই চুক্তি গাজাতেও সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তা খুলে দেবে। গাজার লড়াই বন্ধের জন্যও মধ্যস্থতা করছে ফ্রান্স। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। তবে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।

মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।

শীর্ষ সংবাদ:
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড দরবৃদ্ধির শীর্ষে সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনতে চায় সরকার, চিন্তায় ভারত সিরিয়ার বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল দুদকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মোমেন! বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়া ৮ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মায়ানমারের মংডু দখল করেছে আরাকান আর্মি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল শুনানী আজ ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব দর বৃদ্ধির কারণ জানে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউসিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ‘আদনান ইমাম’ সোনার ভরি এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অনুরোধ ইসির বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারতঃ বিক্রম মি‌শ্রি দরপতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড