খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১৫ শতাংশ করায় অর্থ উপদেষ্টার নিকট ডিবিএ’র কৃতজ্ঞতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১৫ শতাংশ করায় অর্থ উপদেষ্টার নিকট ডিবিএ’র কৃতজ্ঞতা

অনেক দিন পরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা সুখবর পেল। অর্জিত মূলধনী মুনাফার উপড় কর হার হ্রাস করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। করের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) ডিবিএ থেকে পাঠানো এক বার্তায় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম অর্থ উপদেষ্টাকে এই অভিনন্দন জানান।

ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বলেন, বাজারের দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি করে বাজারকে বিনিয়োগসমৃদ্ধ করতে মূলধনী মুনাফার উপর কর ছাড়ের বিষয়টি খুবই প্রয়োজন ছিল। এ বিষয়ে মূলধনী মুনাফার উপর বিদ্যমান কর প্রত্যাহার চেয়ে আমরা ইতিমধ্যে অর্থ উপদেষ্টার নিকট সুপারিশ করেছিলাম। অর্থ উপদেষ্টা আমাদের সুপারিশ সুবিবেচনা করে মূলধনী মুনাফার (Capital Gain Tax) ওপর করের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় আমরা ডিবিএর পক্ষ থেকে তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, এই কর ছাড়ের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি তাঁর সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার প্রতিফলন হয়েছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সমৃদ্ধ হবে।

সাইফুল উল্লেখ করেন, আমরা লক্ষ করেছি যে, পুঁজিবাজারের প্রতি মাননীয় অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের বাকী সুপারিশগুলো সুবিবেচনা করবেন এবং প্রস্তাবিত সংস্কারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে তুলবেন।

সাইফুল মূলধনী মুনাফার উপর কর হার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামসহ সকল গণমাধ্যম কর্মীদের অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা প্রত্যেকেই নিজেদের অবস্থান থেকে পুঁজিবাজারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেয়া সুপারিশগুলো সুবিবচনায় নিয়ে একের পর এক বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আশা করছি, বর্তমান সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ইতিবাচক উদ্যোগে আমরা খুব শিগগির বিনিয়োগবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব একটি পুঁজিবাজার দেখতে পাবো।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আমরা অতীতের ন্যায় ভবিষতেও সরকার, বিএসইসি, এনবিআর, ডিএসইসহ গণমাধ্যমের সাথে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছি এবং প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দিচ্ছি।

খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। তবে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।

মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।

শীর্ষ সংবাদ:
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড দরবৃদ্ধির শীর্ষে সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনতে চায় সরকার, চিন্তায় ভারত সিরিয়ার বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল দুদকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মোমেন! বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়া ৮ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মায়ানমারের মংডু দখল করেছে আরাকান আর্মি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল শুনানী আজ ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব দর বৃদ্ধির কারণ জানে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউসিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ‘আদনান ইমাম’ সোনার ভরি এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অনুরোধ ইসির বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারতঃ বিক্রম মি‌শ্রি দরপতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড