আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দিবেন ড. ইউনূস
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার কপ-২৯ সম্মেলনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি চলছে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে। তবে কোন বিষয়গুলো এজেন্ডায় রাখা হবে, তা এখনই প্রকাশ করতে চান না তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, বাকুতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেটি তুলে ধরা হবে সম্মেলনে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তুলে ধরবে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের কথা তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উন্নত দেশগুলো থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বাকুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২০২৩ সালে কপ-২৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০২২ সালে কপ-২৭ মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই সম্মেলনে বাংলাদেশের সাবেক সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করেননি। তবে ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিতে কপের জলবায়ু সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে।
আপনার মতামত লিখুন