খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

আগামী দিনে কাগজের রিটার্ন জমা নেওয়া হবে নাঃ এনবিআর চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
আগামী দিনে কাগজের রিটার্ন জমা নেওয়া হবে নাঃ এনবিআর চেয়ারম্যান

আগামী দিনে কাগজের রিটার্ন জমা নেওয়া হবে না। করদাতাদের সেবাগ্রহণ ও রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে নভেম্বর মাসব্যাপী শুরু হয়েছে আয়কর তথ্যসেবা মাস। আয়কর রাজস্ব আহরণের কেবলমাত্র অন্যতম প্রধান খাতই নয়, বরং এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারও কার্যকরী মাধ্যম। আয়করের মাধ্যমে রাজস্বের বৃহত্তম অংশ আহরণের ক্ষেত্রে সব দেশই সচেতন প্রয়াস চালায়। কর সচেতনতা বৃদ্ধি ও আরো নিবিড় আয়কর তথ্যসেবা প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগ নভেম্বর মাসে বিগত অনেকগুলো বছর ধরে বিশেষ আয়কর তথ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর প্রধানতম উদ্দেশ্যে হলো কর সংস্কৃতির বিকাশ, কর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্মানিত করদাতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। করদাতা-বান্ধব কর ব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি হিসেবে কর বিভাগ বিগত অনেকগুলো বছর ধরে আয়কর তথ্যসেবা মাসে প্রয়োজনীয় আয়কর তথ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া যাদের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাদের ম্যানুয়াল রিটার্ন গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আয়কর তথ্যসেবা মাস-২০২৪ এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত ২২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের অন্য সব করদাতাকে অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ হাজার করদাতা ই-রিটার্ন সাবমিট করছেন। শেষের দিকে এটি ৫০ থেকে ১ লাখ হলেও অবাক হব না। সর্বশেষ হিসাবে এক কোটি ৭ লাখ মানুষ ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন।

অনলাইনে আয়করদাতাদের তথ্য নিরাপদ থাকবে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ই-রিটার্ন সফটওয়্যার সিকিউরিটি নিয়ে সমস্যা নেই। যারা এই প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন, তারাও দেখতে পারবে না। এক সার্কেলে কর দিলে ওই সার্কেল ছাড়া অন্য কেউ তাতে প্রবেশ করতে পারবে না। সাইবার আক্রমণের কথা বিবেচনায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা নিজেরাও ডাটা সংরক্ষণে রাখব। প্রতিটি দেশেই কিন্তু ই-রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা হয়। এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। সমস্যা হলে তার সমাধানও আছে।

এবার, আয়কর মেলা আয়োজনের পরিবর্তে সব কর অঞ্চলে বিগত বছরের মতো মেলার পরিবেশে নভেম্বর মাসব্যাপী আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য সেবা দেওয়া হবে।

এনবিআর জানায়, বাংলাদেশের ৮৬৯টি সার্কেলের করদাতাদের ৪১টি কর অঞ্চলে সেবা বুথ স্থাপনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়কর রিটার্ন গ্রহণের সেবা দেওয়া হবে। আয়কর তথ্যসেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, ই-পেমেন্ট (এ-চালান ও অন্যান্য) এর ব্যবস্থা রাখা হবে।

খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। তবে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।

মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।

শীর্ষ সংবাদ:
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড দরবৃদ্ধির শীর্ষে সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনতে চায় সরকার, চিন্তায় ভারত সিরিয়ার বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল দুদকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মোমেন! বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়া ৮ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মায়ানমারের মংডু দখল করেছে আরাকান আর্মি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল শুনানী আজ ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব দর বৃদ্ধির কারণ জানে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউসিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ‘আদনান ইমাম’ সোনার ভরি এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অনুরোধ ইসির বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারতঃ বিক্রম মি‌শ্রি দরপতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড