চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল ছাত্র প্রতিনিধি ও ৪ আগষ্ট মামলার বাদী আহসান হাবিবকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের সময় হাইমচর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। আওয়ামী লীগের দোসর সরদার জলিল মাস্টারের ভাগিনা মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা করার অভিযোগ করেছেন হাবীবের পরিবারের লোকজন। গুরুতর আহত আহসান হাবীবের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় নুরমিয়া আখনের ছেলে সিয়াম হোসেনকে আটক করেছে হাইমচর থানা পুলিশ।
আহত আহসান হাবীবের মামা দুলাল পাটোয়ারী জানান, আহসান হাবীব হাইমচর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন করেন। আন্দোলনে হাবিব গুরুতরভাবে আহত হয়। পরবর্তীতে নিজে বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলা করার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জলিল মাস্টার তাকে নিরাপরাধ মানুষকে মামলায় জড়ানোর জন্য বলেন। সে রাজী না হওয়ায় পরবর্তীতে মামলা তুলে নেয়ার জন্যও হুমকি দেন। তার কথা না শুনার কারণে তিনি তার ভাগিনা মিরাজকে দিয়ে কয়েকবার তার উপর হামলা করান। শেষ পর্যন্ত হাবিবকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করে কুপিয়ে জখম করে। হামলার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।
হাইমচর সরকারি কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম জানান, হাইমচর কলেজের সামনে আজ যে ঘটনাটি ঘটে গেল তা অনাকাংখিত ছিল। আমাদের কলেজে কখনো এমন হামলার ঘটনা ঘটেনি। আহত আহসান হাবীব ও হামলাকারী মিরাজ দুজনই এ কলেজের ছাত্র। আহসান হাবীবের উপর হামলার ঘটনায় আমরা আলমাস উদ্দিন আখনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মিরাজকে প্রাথমিক ভাবে অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় কলেজ থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত করা হবে। তিনি জানান, মিরাজ নামক এ ছেলেটি একাদশ শ্রেনীর ১ম বর্ষের ছাত্র। সে ইতিপূর্বে কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশুভ আচরন করেন। তার কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ অঙ্গিকার নামাও রাখেন।
হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের উপর হামলার ঘটনায় সিয়াম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন