ইরানে হামলার সমাপ্তি ঘোষণা আইডিএফের
“আমাদের হামলাপর্ব সমাপ্ত এবং এ অভিযান সফল। পূর্ববর্তী হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলা পরিচালিত করেছিল। আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে।”
টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দেশটির রাজধানী তেহরান ও তার পার্শ্ববর্তী কারাজ শহরে বিমান থেকে গোলা বর্ষণের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিলো আইডিএফ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া এ হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানায় আঘাত হানা হয়েছে। গত বছর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী, সেগুলোর সবই তৈরি হয়েছে সেই কারখানাটিকে।”
লেবানের অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
তবে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে ফেলতে পেরেছিল আইডিএফ। তাই ১ অক্টোবরের হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের।
হামলার পরের দিন ২ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরানকে এ হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফের এ ধরনের হামলা হবে।
উভয়পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই আশঙ্কার মধ্যেই আজকের হামলা চালাল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন