বাংলাদেশ রেলওয়েতে বা ট্রেনের টিকেট প্রাপ্তি বা অব্যবস্থাপনা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ বহু পুরোনা। নামে-বেনামে টিকেট সংরক্ষণ করে গ্রাহক ঠকানো এবং তা পরে চেরাকারবারীদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
তবে এবার কঠোর হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে টিকিট সংরক্ষণ না রাখা সংক্রান্তসহ ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন করে চারটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকসংখ্যক ট্রেনের টিকিট প্রয়োজন হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টিকিট সংরক্ষণ করা যেত। সেক্ষেত্রে ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হতো এবং সংরক্ষণ করা এসব টিকিটের ওপর ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হতো। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এখন থেকে আর টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না।
রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. আনসার আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে চিঠিটি সহজ লিমিটেড (লিড পার্টনার) সহজ- সিনেসিস-ভিনসেন-জেভির ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনাপত্রে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রেলভবনে অনুষ্ঠিত টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় আলোচনার ভিত্তিতে নিচের চারটি নির্দেশনা প্রদান করা হলো। সভায় রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনও টিকিট সংরক্ষণ না রাখা।
২. রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনও টিকিট সংরক্ষণ না করা।
৩. রেলওয়ের সংরক্ষিত আসন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তারা (ডিসিও) তত্ত্বাবধান করবেন।
৪. টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে বা অন্য কোনও প্রয়োজনে টিকিট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অবশ্যই লিখিত নির্দেশনার ভিত্তিতে কার্যকরী করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ছাড়া কোনও টিকিট সংরক্ষণ না রাখা এবং একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিসিওদের দালিলিক বা লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক ওই সংরক্ষিত আসনের টিকিট রিলিজ এবং তা রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হলো।
আপনার মতামত লিখুন