ফ্লোরপ্রাইস পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকারকঃ সিএফএ সোসাইটি
ফ্লোরপ্রাইস পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকার। আর কখনো যেন পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস ফিরে না আসে সেই আহ্বান জানিয়েছে সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামে (ইআরএফ) ‘পলিসি রিকমেন্ডেশনস অন ইকোনমি, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড দ্য ব্যাংকিং সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি কাজী মনিরুল ইসলাম।
কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারে অনেক বড় ক্ষতি করেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের বাজার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী আর কখনো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসবে না। এজন্য আর কখনো যেনো পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস ফিরে না আসে।
তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটে তারল্য নেই। এজন্য বন্ড মার্কেটে তারল্য বাড়ানোর জন্য কাজ করা উচিত। এছাড়াও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। কারণ তাদের কথা বলার মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
মার্জিন লোনের প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে কাজ করছে না বলেও জানান কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মার্জিন লোন নিয়ে আমরা একটি বিশেষ চক্রাকারের মধ্যে পড়ে আছি। এটি সঠিকভাবে কাজ করছে না। মার্জিন লোনের রুলস এবং রেগুলেশন রিভিউ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মার্জিন লোন যারা নিয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এজন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো উচিত। তাদেরকে বোঝানো উচিত যে, মার্জিন লোন সবার জন্য না।
এছাড়াও তিনি বলেন, মার্কেট ক্যাপিটাল রেশিও বাড়াতে হবে। এজন্য ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। তবে ভালো কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কারনে তালিকাভুক্ত হতে চায় না। বাজারে আসার জন্য তাদের আগ্রহী করার জন্য ট্যাক্স ইনসেনটিভ সহ আরও কিছু সুবিধা দেওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত মিউচুয়াল ফান্ড পপুলারাইজড করতে হবে। ভালো একটি মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাষ্ট্রি মার্কেট স্থিতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
এদিন বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএফএ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আসিফ খান। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি মো. মনিরুজ্জামান এবং শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও কাজী মনিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন