কার ক্ষতি, কার লাভঃ প্রশ্নের মুখে বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প!
বিদেশি অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দরে Bay Terminal নির্মাণ প্রকল্প চলমান। এরই মধ্যে এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা।
তারা বলছেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে বর্তমানে যে জেটিগুলো কার্যকর ও নির্মাণাধীন আছে সেগুলিই এখনো ঠিকমতো ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এসব জেটির মাত্র ৫০% ব্যাবহৃত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রনাধীন জেটির সংখ্যা ১৭ টি, যার মধ্যে ১১ টি কন্টেইনার জেটি, বাকি ৬টি বাল্ক কার্গো জেটি এছাড়াও সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান জেটিগুলি, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (PCT) এর জেটি ডলফিন ওয়েল জেটি, গ্রেইন সাইলো জেটি, সিমেন্ট ক্লিংকার জেটি, টিএসপি জেটি, CUFL জেটি, ড্রাই ডকের জেটি, KAFCO Urea জেটি, Eastern Refinery Ltd (ERL), পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব জেটি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ড্রাইডকের দুটি জেটি যাহা ১১ মিটার ড্রাফট পর্যন্ত জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে পারে, তাহা কার্যকর আছে। উপরন্ত প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি সি পোর্টের দুইটি জেটি, MARESK Lines র লাল দিয়ার চরে চারটি জেটি এবং কর্ণফুলী ড্রাইডকের আরো ৪টি জেটি সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে নির্মাণাধীন বা নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
উপরোক্ত হিসাব মতে বন্দরের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় মোট প্রায় ৩৭ টি জেটি রয়েছে। ৬টা নির্মাণাধীন/ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন জেটিগুলো সহ চট্টগ্রামে মোট জেটির সংখ্যা ৪৩টি।
২০১৯-২৩ সাল সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ১১ টি কনটেইনার জেটি ও ৬টি কার্গো জেটি দিয়ে গড় হিসাবে বৎসরে ৩.৩ মিলিয়ন টি ই ইউ এবং ৬ কোটি টন বাল্ক কার্গো হেন্ডলিং করা হয়। আন্তর্জাতিক রিসেশন এর কারণে বাৎসরিক মালামাল ওঠানামার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এ সময়ের মধ্যে বন্দরে জাহাজ আগমনের পরিমাণ অনেক কমেছে । বর্তমানে কন্টেইনার এবং বাল্ক কার্গোর হ্রাসকৃত চাহিদার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭টি জেটির মধ্যে সবসময়ই দুই-চারটি জেটি অলস অবস্থায় বসে থাকে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদপত্রের সংবাদ ও রিপোর্ট সংযুক্ত হলো।
এখানে উল্লেখ্য যে সিমেন্ট ক্লিংকার, ড্রাইডক এবং কর্ণফুলী জেটি সহ অন্যান্য জেটি সমূহ কারগোর অভাবে খালি থাকে। তাছাড়া পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের (PCT)র ৩ জেটি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও সচরাচর জাহাজের দেখা মেলে না। MARESK Lines র এর জেটি চালু হলে বন্দর ৪০% কন্টেইনার কার্গো হারাবে । সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত জেটিগুলো যাহার মধ্যে কিছু কার্যকর, কিছু নির্মাণাধীন এবং কিছু নির্মান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, সেগুলি পূর্ণভাবে চালু হলে দেশের বাৎসরিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি হবে নিম্নরূপ: চট্টগ্রাম বন্দরের ৩.৩ মিলিয়ন, MARESK Line-এর ২.০ মিলিয়, কর্ণফুলী’র ২.০ মিলিয়ন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের ১.০ মিলিয়ন, অর্থাৎ মোট ৮.৩ মিলিয়ন TEUS I এই ৮.৩ মিলিয়ন টি ই ইউ ক্যাপাসিটি সম্পন্ন জেটি গুলোর চাহিদা ১০০% মেটাতে আরও ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।
মাতারবাড়ি ডিপ সি পোর্ট যেখানে ১৪ থেকে ১৬ মিটার deep draft র জাহাজ ভিড়তে পারবে বলে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেটি চালু হলে আরও ৩ মিলিয়ন টিইইউ হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি যোগ হবে। ফলে দেশের কনটেইনার জেটিগুলি বাৎসরিক মোট হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে প্রায় ১১.৩ মিলিয়ন টিইইউ, যার ১০০% চাহিদা মেটাতে বর্তমান ও সম্ভাব্য ভবিষ্যত চাহিদা বিবেচনায় কমপক্ষে আরো ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।
বাস্তব অবস্থা যখন এতটাই ভয়াবহ, অর্থাৎ যখন দেশের বিদ্যমান জেটিগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বন্দর ও অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে জেটির জন্য বিনিয়োগকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার যেখানে অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। যেখানে দেশের কন্টেইনার কার্গেো ও বাল্ক কারগোর, বর্তমান ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চাহিদা অনুপাতে বিদ্যমান জেটির সংখ্যা ও ক্যাপাসিটি অনেক গুণ বেশি এবং সাধারণ বিবেচনায়ও এটি পরিষ্কার যে বর্তমানে বন্দরের জেটি ও অন্যান্য বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন জেটি সমূহের ১০০% চাহিদা মেটাতে আরো ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপ্রয়োজনীয়, অনিশ্চিত এবং ব্যয়বহুল প্রকল্প বাদ দিতে বলেছিলেন। সেই অবস্থায় বে টার্মিনালএর মত অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি প্রকল্প যার অর্থনৈতিক সূচকসমূহ IRR, BCR কোনভাবেই ইতিবাচক নয়। যেটা গ্রহণ করলে Required Port Charges এত বেশি হতে পারে। যার কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক দেশ সমূহের বন্দরগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যেতে পারে। সেটা জাতির উপর চাপিয়ে দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই নয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বিশেষজ্ঞগণ এবং কনসালটেন্টসগণ বে টার্মিনাল এর ব্যাপারে যতগুলো সমীক্ষা করেছেন তার সবগুলিতেই নেতিবাচক সুপারিশ করেছেন। বর্তমান বন্দর নিজস্ব সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে বৎসরে যে ২০০০ থেকে ২৫০০ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করছে, বে টারমিনাল নির্মাণ হলে বন্দর সেই উপার্জন ও হারাবে।
যদিও চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণে এক দশক আগে নেওয়া নতুন ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্প নতুন করে গতি পাচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০১ একর জমি দেওয়ার প্রক্রিয়া গত মে মাসে চূড়ান্ত হয়েছে। গত শুক্রবার প্রকল্পের ব্রেক ওয়াটার বা স্রোত প্রতিরোধক তৈরি এবং জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি তথা খননকাজের জন্য ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ।
বিশ্বব্যাংকের নতুন এই ঋণ অনুমোদনের সুবাদে বে টার্মিনাল প্রকল্পের উন্নয়নকাজে গতি পাওয়ার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এই প্রকল্প এলাকা চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান টার্মিনাল এলাকার চেয়ে বড়। বন্দর জলসীমার শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনের সাগরপার থেকে শুরু হবে বে টার্মিনাল প্রকল্পের সীমানা, যা গিয়ে শেষ হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমণিঘাটে।বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা প্রকল্প এলাকাটি প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা।
বে টার্মিনাল যে গতি পাচ্ছে, তা ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই ইতিবাচক। আমরা বহু আগেই এই টার্মিনাল নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলাম। কারণ, এটি চালু হলে কনটেইনার পরিবহন তথা পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবসার খরচ কমবে। জটের মুখে পড়তে হবে না।
বে টার্মিনালে মূলত জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানো হবে। খোলা পণ্য সাগরে ওঠানো-নামানো গেলেও টার্মিনাল ছাড়া কনটেইনার ওঠানো-নামানো যায় না। রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ কনটেইনারে ভরে বিদেশে পাঠানো হয়। আবার শিল্পের কাঁচামালসহ মূল্যবান পণ্য কনটেইনারে করে আমদানি হয়। বর্তমানে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর ৯৮ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনালে হয়। নতুন করে পতেঙ্গা টার্মিনালেও কনটেইনার ওঠানো-নামানো শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে এখন বছরে তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়। বে টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে এটি বন্দরের বিদ্যমান টার্মিনালের চেয়ে বেশি কনটেইনার পরিবহন করা যাবে বলে বন্দরের কর্মকর্তারা জানান।
যেভাবে এল বে টার্মিনাল প্রকল্প: এক যুগ আগে বছরের বেশির ভাগ সময় জাহাজজটের মুখে পড়ত চট্টগ্রাম বন্দর। সে জন্য তখন বন্দর সম্প্রসারণে নতুন প্রকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চট্টগ্রাম বন্দরে সুবিধাদি সম্প্রসারণ (বে টার্মিনাল)’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়ে জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয় তারা। পতেঙ্গার সাগরপারে প্রথমে ৮৭০ একর জমিতে বে টার্মিনালে গড়ে তোলার কথা ছিল। এরপরই প্রকল্পটি নিয়ে সমীক্ষা চালানোর বিষয়ে প্রথম এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক। ওই বছরই বিশ্বব্যাংকের তিনজন প্রতিনিধি প্রকল্প এলাকা ঘুরে ৪৬ পৃষ্ঠার প্রাক্-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা তৈরি করেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিবেদনটি বন্দরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রথম বলা হয়েছিল, প্রকল্প এলাকাটি কনটেইনার টার্মিনালের জন্য আকর্ষণীয়। ঢাকা থেকে আসা–যাওয়ার জন্য প্রকল্প এলাকার কাছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। বে টার্মিনাল হবে টেকসই বিকল্প। বিশ্বব্যাংক প্রকল্প এলাকাকে আকর্ষণীয় বললেও শুরুতে কিন্তু কাজে অগ্রগতি ছিল না। নানা ছাড়পত্র ও জমি অধিগ্রহণে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। জমি বুঝে পাওয়া নিয়ে যে জট ছিল, সেটি এ বছরে এসে খুলে যায়। গত মে মাসে প্রায় ৫০১ একর জমি বুঝে নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৫৬৭ একর জমি হাতে পাচ্ছে বন্দর।
বে টার্মিনালে কী থাকছে: ২০১৭ সালে বে টার্মিনাল নির্মাণের কারিগরি, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সম্ভাব্যতা নিয়ে সমীক্ষা করে জার্মানির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান শেল হর্ন। তাতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৩০০ মিটার লম্বা এবং ১২ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব এই টার্মিনালে। চলতি বছরে নতুন করে এই প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা ও নকশা চূড়ান্ত করা হয়। সে অনুযায়ী, এই প্রকল্পে মোট চারটি টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আওতায় দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান দুটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ডিপি ওয়ার্ল্ড। দুই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। তাদের বিনিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়াও এখন চলছে। আবুধাবি পোর্টস মাল্টিপারপাস নামে একটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হতে পারে। এ ছাড়া গ্যাস ও তেল খালাসের টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইস্ট কোস্ট গ্রুপ। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তারা ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যে কী সুবিধা হবে: চট্টগ্রাম বন্দরের সীমাবদ্ধতা থাকায় বড় আকারের জাহাজ জেটিতে ভেড়ানো যায় না। অবশ্য দিনের বেলায় জোয়ারের সময় জাহাজ ভেড়ানো যায়। বন্দরে এখন যেসব জাহাজ চলে, সেগুলো গড়ে দেড় হাজার একক কনটেইনার আনা-নেওয়া করে। প্রস্তাবিত বে টার্মিনালে চার হাজার একক কনটেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। জাহাজও ভেড়ানো যাবে দিনরাত যেকোনো সময়। বে টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত আউটার রিং রোডের পাশে। কাছাকাছি রয়েছে রেললাইন। আবার অভ্যন্তরীণ নদীপথেও বে টার্মিনাল থেকে সরাসরি যাওয়া যাবে সারা দেশে।
লেখকঃ সাজেদা হক, সিনিয়র সাংবাদিক
[সতর্কতা: মতামত কলামে প্রকাশিত লেখা লেখকের নিজস্ব। এর সাথে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কোনও সংযোগ বা দায় নেই। লেখকের মতের সাথে পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতির মতের মিল নাও থাকতে পারে।]
আপনার মতামত লিখুন