খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

পরীমণি কান্ডে চাকরি হারাচ্ছেন সাকলায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ৮:০৪ অপরাহ্ণ
পরীমণি কান্ডে চাকরি হারাচ্ছেন সাকলায়েন

 ডিবি গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঘটনাক্রমে দেখা এবং যোগাযোগ শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া তার ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত-যাপন করা এবং স্ত্রীর অবর্তমানে রাজারবাগের বাসায় নিয়ে ১৭ ঘণ্টা অবস্থানের প্রমাণ মেলায় চাকরি হারাচ্ছেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন।

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপ-সচিব রোকেয়া পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত স্মারকে বিভাগীয় মামলায় তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানে’র বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) শৃঙ্খলা-২ শাখার ওই স্মারকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। গোলাম সাকলায়েন সর্বশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ‘ঝিনাইদহ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে’ কর্মরত ছিলেন।

নায়িকা পরীমণির মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট (সিআইডি কর্তৃক মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত) পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার ও পরীমণির আদান-প্রদানকৃত মেসেজগুলো ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির ফেসবুক আইডি ও গোলাম সাকলায়েন সিথিল নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথন এবং তাদের হোয়াটস্অ্যাপ নম্বরে (১১ জুলাই-৪ আগস্ট ২০২১) কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয় বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক।

২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডির স্মারক নং-আইটি-ফরেনসিক/১৫৭৩ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১ আগস্ট ২০২১ সকাল ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে নায়িকা পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, গত ১ আগস্ট, ২০২১ তারিখে তার পূর্ব পরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমণি তার রাজারবাগে সরকারি বাসায় যায় এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে, পরদিন ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন।

তার ও নায়িকা পরীমণির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায়, টেলিভিশনে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং যার ফলে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়।

গোলাম সাকলায়েন পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাইরে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মত ঘটনা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তা প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

গোলাম সাকলায়েনর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর দায়ে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা আনীত অভিযোগের জবাব প্রদানপূর্বক ব্যক্তিগত শুনানি প্রার্থনা করেন। বিভাগীয় মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনকে বলা হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ডের আওতায় কেন তাকে “চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ” করা হবে না সেই মর্মে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। জবাবে তিনি ‘চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ’ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করেন।

গোলাম সাকলায়েনের বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পুনরায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনার পর দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী“অসদাচরণ” এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এরই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে “বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান” দণ্ডের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। তবে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।

মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।

শীর্ষ সংবাদ:
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড দরবৃদ্ধির শীর্ষে সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনতে চায় সরকার, চিন্তায় ভারত সিরিয়ার বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল দুদকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মোমেন! বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়া ৮ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মায়ানমারের মংডু দখল করেছে আরাকান আর্মি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল শুনানী আজ ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব দর বৃদ্ধির কারণ জানে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউসিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ‘আদনান ইমাম’ সোনার ভরি এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অনুরোধ ইসির বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারতঃ বিক্রম মি‌শ্রি দরপতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড