খুঁজুন
রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

আমাদের সড়ক নিরাপদ হবে কবে?  

এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
আমাদের সড়ক নিরাপদ হবে কবে?   

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। আয়তনের তুলনায় আমাদের জনসংখ্যার আধিক্য আমাদের উন্নয়নের বড় অন্তরায়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করছে। এতে নিঃসন্দেহে জনসংখ্যা আর বোঝা হয়ে থাকছে না। কিন্তু তাতে জনসংখ্যা কোনো মতেই কমছে না।

এসব মানুষ রাস্তায় তথা সড়কে নামে। বাজার করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়, কর্মস্থলে যায় অর্থাৎ নিয়মিত চলাচল থাকে। এত সড়কে ভীড় বাড়ে। এই ভীড় সামাল দেয়ার অবস্থা আমাদের নেই।

ফলে একদিকে আমাদের কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে আগে যাওয়ার প্রতিযোগীতায় সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় সব দেশেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশের মতো কোথাও এর হার এত ঊর্ধ্বমুখী কি না, এ এক বিরাট প্রশ্ন।

প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক কি মৃত্যুফাঁদ হয়েই থাকবে? আমরা দেখছি, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমবর্ধমান হারের প্রেক্ষাপটের পেছনে যানবাহনের চালক ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল অনেকের দায়িত্বহীনতা-স্বেচ্ছাচারিতা-শৃঙ্খলাভঙ্গের অপপ্রবণতা বহুলাংশে দায়ী।

একেকটি দুর্ঘটনায় প্রতীয়মান হচ্ছে এগুলোর কোনোটিই নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং বলা যায় অবহেলা জনিত  হত্যাকান্ড।

সংবাদমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই সড়কে বিশৃঙ্খলার যে চিত্র উঠে আসছে, তা এক কথায় বলা যায় চরম নৈরাজ্য। সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে এ-যাবৎ কথা কম হয়নি। আলাপ-আলোচনায় সড়ক নিরাপদ করার বহুমাত্রিক সমাধানসূত্রও উঠে এসেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দিনকে দিন সড়কের মৃত্যুফাঁদ হয়ে ওঠা ঠেকানো যাচ্ছে না। সড়কে যানবাহন চলাচল আইন আছে, পথচারীদের জন্যও আছে আইন। তারপরও অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের দৌরাত্ম্য, ট্রাফিক আইন না মানার অপপ্রবণতার পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রয়েছে জনসচেতনতারও ঘাটতি। অধিকাংশ চালকের যেমন নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, এর সমান্তরালে অদক্ষ চালকের সংখ্যাও কম নয়। কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশে গড়ে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে ৫৫ জন মানুষ। প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণায় জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় গড়ে ১২ হাজার মানুষ। আর ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) তথ্যে প্রকাশ, গত এক বছরে দেশের সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৭ হাজারেরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে এবং তাতে হতাহতের সংখ্যাও ক্রমেই স্ফীত হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যাতায়াতের কোনো পথই নির্বিঘ্ন করা যাচ্ছে না, তবে এর মধ্যে সড়কপথের অবস্থা ভয়াবহ।

দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হত্যাকাণ্ড বলে প্রমাণিত হলে চূড়ান্ত দণ্ডের বিধান রয়েছে এবং এর দায় শুধু চালকেরই নয়, গাড়ির মালিক এবং কোম্পানিসংশ্লিষ্ট অন্যদেরও। অথচ এক্ষেত্রে আইনটি যেন কাজির গুরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই।

 

সড়ক দুর্ঘটনা কেন ঘটে? কী কী কারণে এত বেশি দুর্ঘটনা, কী কী পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার হার কমানো সম্ভবÑ এর সবই বহুল আলোচিত। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন তো বটেই এর সঙ্গে সড়ক-মহাসড়কে গাড়িচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, অনৈতিক ব্যবসাপ্রবণতা এবং আইন কিংবা নিয়মনীতি ভঙ্গের অপপ্রবণতা পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যেন মজ্জাগত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

সড়ক-মহাসড়কে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের ছায়া ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আইন মানা এবং আইন মানানোর প্রবণতা এই দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক ঘাটতি স্পষ্টত দৃশ্যমান। আমাদের ট্রাফিক বিভাগে প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম, এ কথা অসত্য নয় বটে, কিন্তু যে সংখ্যক আছেন তাদেরই বা জবাবদিহি কোথায়? ট্রাফিক আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও আইন রক্ষকদের অনেকেরই ঢিলেঢালা ভাব ও দুর্নীতির কারণে গাড়িচালকদের মধ্যে আইন ভাঙার প্রবণতা বাড়ছে।

 

মানুষের জীবনরক্ষায় সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সড়ক পরিবহন আইনের কার্যকারিতা এবং সুফল দেখতে চাই।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

 

চাঁদপুরে হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

আজ (৭ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদি ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন কমিউনিটি সেন্টারে হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী ও সমাজসেবক মির্জা জাকির।

হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ জাতীয় দৈনিক অনুপমা ও দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নিরাপদ সড়ক চাই চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, চাঁদপুর সদর উপজেলা কিন্ডারগার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও কন্ঠ শিল্পী মৃণাল কান্তি দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী রাজনীতিবি মোঃ আরিফুর রহমান।

স্কুলের শিক্ষিকা মাইশা আক্তারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকা মারিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তার, অনামিকা আক্তার, মিম আক্তার, মুক্তা রানী, মুনমুন আক্তার, হাসান গাজী , জান্নাত আক্তার, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শাহ নেওয়াজ, সহ স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক বৃন্দ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মির্জা জাকির বলেন আমি ছোট থেকেই দেখেছি সাংবাদিক রোকনুজ্জামান রোকন সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম হলো কোন মানুষ সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজন হলে তাদের পাশে দাঁড়াতো এমনকি কোন মানুষ বিপদে পড়লে তার কাছে আসতো সে আমাদের কাছে নিয়ে আসতো এটা ছোট থেকেই তিনি করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন।

শীর্ষ সংবাদ:
চাঁদপুরে হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ স্ট্রোক কেয়ারের সাফল্য উদযাপন করেছে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মামুন মহাসচিব ভারত সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা আগামী বছরই জাতীয় নির্বাচনঃ শিক্ষা উপদেষ্টা দর পতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দর বৃদ্ধির শীর্ষে ড্রাগণ সোয়েটার অ্যান্ড শিপিং লিমিটেড দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে আরএসএস’র কর্মসূচী ঘোষণা ২৩ বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে এনআরবি ব্যাংক শেয়ারবাজারে মূলধন কমেছে ৬৫১ কোটি ৪২ লাখ টাকা আজ শেষ হচ্ছে এটিএস এক্সপো-২০২৪ জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল নির্বাচন কমিশনে চার কমিটি গঠন দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হাজীগঞ্জে অবৈধভাবে মাটি তোলায় যুবদলের নেতার ৭ দিনের কারাদণ্ড ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের দরজা কঠিন হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিতে ভারতীয় জনগণকে আহ্বান বিশিষ্টজনদের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে পাঁচ দিন উড়তে থাকা পাকিস্তানকে বিদায় করে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ