খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

জিয়ার সময়ে হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করা হয়ঃ প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
জিয়ার সময়ে হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করা হয়ঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার সময়ে হাজার হাজার সৈনিকদের হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর সৈনিকদের হত্যা করা হয়। ১৯টি ক্যু হয়েছিল সে সময়। পিতা হারা সন্তানের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি ছিল। জিয়া সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।

জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার যেন না সেজন্য ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়। সে সময় বিচারের সংস্কৃতি ছিল না। এলিট শ্রেণি তৈরি করা হয়। আজকে ঋণ খেলাপির কথা বলা হয়। এটা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। তবে একটি মহল সরকারের উন্নয়ন কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এমব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণে যে কাজগুলো আমরা করেছি, তার শুভ ফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়, হ্যাঁ তাতে কী করতে পারবে, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি। সেখানে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে জনগণের মাঝে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই ওই আস্থা বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি, এজন্য আমি কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী আমার পাশে আছে, আমি কাউকে পরোয়া করি না।’

বঙ্গবন্ধুর সময়কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে; সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো সেক্টর নেই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেননি। তারপরও তার সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে তো হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি তো বেঁচেই গেছি, সেটাও আমার জনগণ এবং দলের লোকেরা সবসময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাচ্ছি।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে কেউ কেউ গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছেন। তারা কি গণতন্ত্র বোঝে? তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রে হয়েছিল? সেনা ছাউনি থেকে বের হয়ে দল করে। হ্যাঁ-না ভোট। হ্যাঁ-তে ভোট আছে, না তে ভোট নাই। এটা ছিল তাদের গণতন্ত্র। তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় গণতন্ত্রের সবক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনা আইন ভঙ্গ করে রাষ্ট্রপতির ভোট করে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করেছি, অনেক প্রতিকূল অবস্থায়। এরপর আবারও ৮৮ সালে ভোটার বিহীন রাষ্ট্রপতি ভোট করলেন এরশাদ সাহেব। এর বিপরীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাই আন্দোলন করি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট করেছিল খালেদা জিয়া। ভোটার বিহীন ভোট। কিন্তু সেই ভোটে তিনি টিকতে পারেনি। জনগণের রুদ্ররোষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো। এরপর বিদ্যুতের দাবিতে কৃষককে গুলি করে হত্যা করে। পানির জন্য ঢাকা শহরে হাহাকার ছিল। বিএনপির এক নেতাকে পানির জন্য মানুষ দৌড়ানি দেয়।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ বুঝতে পারে ক্ষমতা জনগণের কল্যাণের জন্য। ২০০১ সালের আগে আমার কাছে প্রস্তাব আসে, গ্যাস বিক্রির। আমি রাজি হইনি। তাই ক্ষমতায় আসতে পারিনি। এই নির্বাচনের আগে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রেহাই দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী তাদের বেঁধে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার করে। ৬ বছরের রজুফা, ফাহিমা, পূর্নিমাকে ধর্ষণ করেছিল। তাদের বাবা-মা আওয়ামী লীগে ভোট দিয়েছিল বলেই তাদের অপরাধ। কিবরিয়া, আহসানুল উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিনসহ অনেকেই হত্যা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছিল। এরপর নির্বাচন, ভুয়া ভোটার তৈরি করে ভোট করার প্রস্তুতি। এরপর জনগণ আন্দোলন করে। বাধ্য হয় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। এরপর খালেদা জিয়ার প্রিয় লোক ফখরুদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে। মঈন উদ্দিন আহমেদকে সেনাপ্রধান বানায় ৯ জন অফিসারকে ডিঙ্গিয়ে। কথা ছিল তাদের নির্বাচন দেবে। কিন্তু টালবাহানা করে। তারা গ্রেপ্তারসহ নানা অপকর্ম শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করি। আমাকেও গ্রেপ্তার করে। এরপর খালেদা জিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশ রেহাই পায়নি। সাংবাদিকরাও রেহাই পায়নি। প্রেস ক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িও রক্ষা পায়নি। প্রধান বিচারপতির কামড়ায় বিএনপির লাথি দেওয়ার অভ্যাস আছে।

বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ নেই ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয় না। আজকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কেন বিশেষ আইন করলাম। আইন না করলে বেসরকারিখাতে বিদ্যুৎ দেওয়া যায় না। আমি কিন্তু কাউকে ক্ষমা করিনি। প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করে সামিট গ্রুপ। তারা দেরি করে। আমরা কিন্তু তাদের কাছ থেকে জরিমানা নিয়েছি। দারিদ্রের হার কমিয়েছি। মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সবাইকে উৎপাদন বাড়াতে হবে। সর্বজনীন পেনশন চালু করেছি। সাংবাদিক, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এমনকি সবচেয়ে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ বিত্ত, প্রবাসীদের জন্য এই কাজ হাতে নিয়েছি।

সংসদ নেতা বলেন, সামনে জুন মাসে বাজেট অধিবেশন বসবে। সেই অধিবেশনে আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা যেন একটা ভালো বাজেট দিতে পারি সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। তবে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।

মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।

শীর্ষ সংবাদ:
খেলাপি ঋণের চাপে চরম বিপদে ১০ ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড দরবৃদ্ধির শীর্ষে সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ কিনতে চায় সরকার, চিন্তায় ভারত সিরিয়ার বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল দুদকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মোমেন! বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়া ৮ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মায়ানমারের মংডু দখল করেছে আরাকান আর্মি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল শুনানী আজ ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব দর বৃদ্ধির কারণ জানে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউসিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ‘আদনান ইমাম’ সোনার ভরি এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অনুরোধ ইসির বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারতঃ বিক্রম মি‌শ্রি দরপতনের শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড