রোজার প্রথম দিনেই বাড়লো সব নিত্যপণ্যের দাম
রোজার প্রথম দিনেই বাড়লো নিত্য প্রযোজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। কোন বাধা ছাড়াই ক্ষুদ্র, মাঝারী, পাইকারী, আমদানীকারক ও আরড়দারেরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে তাদের পণ্য সামগ্রী বৈাক্তাদের কাছে বিক্রি করছে। পণ্যের এমন আকাশ ছোয়া দামে চরম বিরক্ত ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার কোন ভাবেই ভোগ্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের কিছুই করতে পারছে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় সুযোগবুঝে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রকার ভেদে চিকন বেগুন ৭০- ৮০ টাকা এবং মাঝারি ও গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৪০-৫০, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, করলা ১৩০-১৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ৪০-৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতিটি পণ্যের দাম ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩০ টাকা, শিল আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৪০ টাকা, গ্রানুলা ৩৫-৪০ টাকা এবং ঝাউ আলুর দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৬০ থেকে এক লাভে ৯০ টাকা টাকা এবং দেশি আদার কেজি ২২০-২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলেন, রমজান মাসে বেগুনের চাহিদা বেড়ে যায়, কিন্তু আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনি ১৪৫-১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা আগের মতোই ৬০ টাকা, খোলা আটা ৪৮-৫০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১২০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা এবং বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২১০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি ৪৮০-৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫২০-৫৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর শালবনলাকার মুরগি বিক্রেতা পাখি মিয়া জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও অন্য জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন আগের মতোই ১৭৩ টাকা এবং দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রমজান মাস প্রতিদিন আমরা বাজার মনিটরিং করবো। অনিয়ম পেলে কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। ###১২-৩-২০২
আপনার মতামত লিখুন